
সৌরভ হোসেন: গ্রাম বাংলার উন্নয়নে নারীরা গুরুত্ব পূর্ন ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে । এদের কেউ স্বামীর কাজে সহযোগিতা করে আবার কেউ নিজেরা উদ্দোমী হয়ে। এমনই এক আতœপ্রত্যয়ী নারীর নাম খাদিজা বেগম। কুষ্টিয় সদর উপজেলার স্বস্তিপুর গ্রামের বাসিন্দা সে। স্বামী এক ছেলে এক মেয়ে ও শশুর শাশুড়ি নিয়ে তাদের সংসার। স্বামী ইকরামুল ইসলাম পেশায় একজন অটোচালক। স্বামীর আয়ের উপার নির্ভর করে কোন মতে খেয়ে না খেয়ে চলত তাদের সংসার। কিন্তু আতœপ্রত্যয়ী খাদিজা বেগম মনবল হারাননি, তিনি সব সময় চিন্তা করতেন কিছু একটা করা দরকার কিন্তু কিছু করতে হলে অর্থের দরকার কে দেবে তাদের অর্থ। এমনি সময় প্রতিবেশী দুর সম্পর্কের ভাবিদের কাছ থেকে শুনতে পান মুসলিম এইড বাংলাদেশ এর নাম মাত্র সার্ভিস চার্জ নিয়ে বিনিয়োগ প্রদানের কথা। স্বামীর সাথে পরামর্শ করে ২০১৩ সালের ডিসেম্বর মাসে মুসলিম এইড বাংলাদেশ কুষ্টিয়া সদর শাখার ম্বস্তিপুর সমিতির সদস্য হন। পর পর ৪ সপ্তাহ সঞ্চয় করার পর প্রথমে ১০ হাজার টাকা বিনিযোগ নিয়ে হাঁস মুরগী পালনের মাধ্যমে সংসারের হাল ধরার চেষ্টা করেন। সেখান থেকেই শুরু হয় তাদের পথ চলা। ৭ বারে তারা মুসলিম এইড থেকে ৩লক্ষ ৭০ হাজার টাকা বিনিয়োগ সুবিধা গ্রহণ করেন। সর্বশেষ ২০২২ সালের জানুযারী মাসে খাদিজা বেগম স্বামীর সাথে পরামর্শ করে বাড়িতে গরুপালনের পরিকল্পনা করে। তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী খাদিজা বেগম মুসলিম এইড থেকে ৯৮ হাজার এবং নিজেদের জমানো টাকা দিয়ে ২টি ষাড় গরু ক্রয় করেন। খাদিজা বেগম সংসারের কাজের পাশাপাশি ষাড় গরু ২টার পরিচর্যার ভার নিজের কাদে তুলে নেন, সকাল বিকাল সন্ধায় তার কাজে সহযোগিতা করেন স্বামী ইকরামুল ইসলাম। বর্তমান তাদের গরুর মুল্য ৪ লক্ষ টাকার উপরে। তাতের আশা আসছে কুরবানি ঈদে তাকের ষাড় গরু ২ টি ৫ লক্ষ টাকায় বিক্রি করতে পারবেন। তাদের স্বপ্ন এবার তাদের টাকা এবং মুসলিম এইড থেকে সামান্য কিছু টাকা দিয়েই ৫টি ষাড় গরু ক্রয় করে ছোট একটি খামার গড়ে তোলা যেখানে পাড়ার আরো দু-একজন মহিলা খন্ডকালিন সময় কাজ করতে পারবেন। খাদিজা বেগমের দেখা দেখি অনেকে মুসলিম এইড থেকে বিনিযোগ নিয়ে মুরগী পালন, গরু ও ছাগল পালন, দর্জি ব্যবসা এবং মাছ চাষের মাধ্যমে সংসারের উন্নয়নের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।