বুধবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৯:৩০ পূর্বাহ্ন
নোটিশ
পাকিস্তানের রাজনীতিতে নতুন করে নাটকীয়তা
/ ১৮
প্রকাশিত সময় : সোমবার, ২১ আগস্ট, ২০২৩, ৪:৫৩ অপরাহ্ন

এনএনবি : পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভির নামে চালিয়ে দেয়া হয়েছে দুটি বিতর্কিত বিলে তিনি সই করেছেন। বস্তুত প্রেসিডেন্ট তা করেননি। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে জানান, তার অধিনস্ত কর্মীরা তার নির্দেশ এবং আদেশকে অগ্রাহ্যদ করেছেন। এতে দেশটির রাজনীতিতে নতুন করে নাটকীয়তা জন্ম নিয়েছে।
সংবাদমাধ্যম ডন ও জিও নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রবিবার (২০ আগস্ট) প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি জানিয়েছেন, তিনি দাপ্তরিত গোপনীতা আইন এবং পাকিস্তান সেনা আইন সংশোধন বিল দুটিতে সই করেননি। কারণ তিনি এই আইনগুলোর সঙ্গে একমত নন।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স (আগের টুইটার) এ একটি পোস্টে আলভি বলেছেন, সৃষ্টিকর্তা যেহেতু আমার সাক্ষী, আমি এই আইনগুলোর সঙ্গে একমত না হওয়ায় আমি অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যামেন্ডমেন্ট বিল, ২০২৩ এবং পাকিস্তান আর্মি অ্যামেন্ডমেন্ট বিল, ২০২৩-এ সই করিনি।
তিনি আরও বলেন, তিনি তার কর্মীদের এই দুটি বিল ‘অকার্যকর’ করার জন্য নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সই ছাড়া ফেরত দিতে বলেছেন।
প্রেসিডেন্ট বলেন, আমি তাদের কাছ থেকে অনেকবার নিশ্চিত করেছি যে বিল দুটি ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে কিনা এবং আমাকে আশ্বস্ত করা হয়েছিল, যে তা করা হয়েছে। যাই হোক, আমি আজ জানতে পেরেছি যে আমার কর্মীরা আমার ইচ্ছা এবং আদেশকে অবমূল্যায়ন ও অবজ্ঞা করেছেন। সৃষ্টিকর্তা সব জানেন, তিনি ক্ষমা করবেন ইনশাআল্লাহ। তবে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হবে তাদের কাছ থেকে আমি ক্ষমা চাই।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, আলভি শনিবার (১৯ আগস্ট) অফিসিয়াল সিক্রেটস (সংশোধন) বিল, ২০২৩ এবং পাকিস্তান আর্মি (সংশোধন) বিল, ২০২৩ এ সম্মতি দিয়েছেন, প্রস্তাবিত আইন দুটিতে পার্লামেন্টে অনুমতির অপেক্ষায় রয়েছে। দুটি বিলই সিনেট এবং জাতীয় পরিষদ অনুমোদিত হয়েছিল এবং কয়েক সপ্তাহ আগে বিরোধী আইনপ্রণেতাদের সমালোচনার মধ্যে প্রেসিডেন্টের অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছিল।
সিক্রেটস অ্যাক্টের ধারা ৬-তে বলা হয়েছে, গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যের তথ্য বা পরিচয় প্রকাশ করা যাবে না। প্রকাশ করলে তা অপরাধ হবে যার জন্য হতে পারে তিন বছরের জেল এবং এক কোটি রুপি পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে।
আর্মি অ্যাক্ট পাকিস্তানে বলা হয়েছে, সশস্ত্র বাহিনীর নিরাপত্তা ও স্বার্থের প্রতি ক্ষতিকর হতে পারে এমন কোনো তথ্য প্রকাশ করলে দোষী ব্যক্তির পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদ- হতে পারে। আইনের একটি সংশোধনী সেনাপ্রধানকে আরও ক্ষমতা দেয় করে।

 

আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ বিভাগের আরও সংবাদ
ফেসবুক পেজ