বুধবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ১১:১৮ পূর্বাহ্ন
নোটিশ
বালিয়াকান্দিতে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেওয়ায় নিরাপত্তাহীনতায় ইউপি সদস্যরা
/ ১৬
প্রকাশিত সময় : শুক্রবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, ৫:০০ অপরাহ্ন

 

রাজবাড়ী প্রতিনিধি : রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার নবাবপুর ইউপি চেয়ারম্যান বাদশা আলমগীরের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসকের দূর্নীতির অভিযোগ দেওয়ায় ৯ইউপি সদস্য নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছে।
এবিষয়ে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে ইউপি সদস্যগণেরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
অভিযোগে প্রকাশ নবাপুর ইউপি চেয়ারম্যান বাদশা আলমগীর পরিষদের সদস্যদের কে বাদ রেখে অবৈধ ভাবে পরিষদের কার্যকালাপ পরিচালনা করায় ঐ ৯ইউপি সদস্য চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করে। উক্ত অভিযোগের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে তদন্ত না হওয়া পর্যন্ত ইউপি সদস্যরা ইউনিয়ন পরিষদে উপস্থিত না হওয়ার জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে কিন্তু ইউপি চেয়ারম্যান ইউপি সদস্যদেরকে ইউনিয়ন পষদে উপস্থিত ও সভায় যোগদানের জন্য বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে। ফলে তারা চরম নিরাপত্তাহীনতায় থাকায় বিষয়টি অবগতি ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আবেদন করেন।
উল্লেখ্য গত ২০আগষ্ট মহিলা ইউপি সদস্য সাফিয়া বেগম, মর্জিনা বেগম, ইউপি সদস্য পলাশ চন্দ্র কর, আবু সাঈদ, আমিনুর রহমান বাবু, কাবিল উদ্দীন, কামরুল ইসলাম, আকরাম হোসেন, সাক্ষরিত অভিযোগ পত্রটি রাজবাড়ী জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগে প্রকাশ, বিগত ২০২১-২২ অর্থ বছরে অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচীর আওতায় নবাবপুর ইউনিয়নে ২৬লক্ষ টাকা এবং ২০২২-২৩ অর্থ বছরে ৫৭লক্ষ ৯২ হাজার টাকা, বরাদ্ধ পাওয়া গেলেও যাহার ১৫ % কাজ করা হয় নাই।
কাজে শ্রমিকদের তালিকা করা হলেও তাদের দিয়ে কাজ করা হয় নাই। শ্রমিকদের নামে বিকাশ একাউন্ট করে সব সিম নিজের কাছে রেখে অর্থ উত্তলন করেন। কর্মসৃজন প্রকল্পে নন ওয়েজ নামে বরাদ্ধকৃত অর্থের কোন কাজ করা হয় না। বেরুলীয়া হাটের বিক্রয় লব্ধ অর্থ হতে ৪৬% অর্থ পেলেও তা পরিষদের কাওকে না জানিয়ে উত্তোলন করে আতœসাৎ করেন। স্থায়ী সম্পদ বিক্রয়ে লব্ধ অর্থ হতে আনুমানিক ২০লক্ষ টাকা, ট্যাক্স ও ট্রেড লাইসেন্স আদায়ের টাকা কোন কাজ করা হয় নাই। কাবিখা, কাবিটা, টিআর (সাধারণ) ইউনিয়ন পরিষদে এমপির বরাদ্ধকৃত কাজ সঠিক ভাবে না করা, ২৮৮৬ জনের মধ্যে ১ হাজার জনের কার্ড নিজ আয়ত্বে নিয়ে কার্ডের চাউল গোডাউনে রেখে আতœসাৎ করেন। ৩৪৫ টি ভিডাবিøউপি কাডর্, রেশন কার্ড, মাতৃকালীন ভাতার কার্ডে অনিয়ম, সঠিক তত্থ্য না জানিয়ে রেজুলেশনে সাক্ষর করাসহ নিয়মিত মিটিং না করা, এডিপি/এলজি এসপি এর অর্থে কোথায় প্রকল্প নেওয়া হয় তা পরিষদকে না জানানো। এক কথায় পরিষদকে চেয়ারম্যান দূর্নীতির আখরা বানিয়ে ব্যবহার করে আসছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
নবাবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বাদশা আলমগীর জানান, একটি মহলের কথামত আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেছে ইউপি সদস্যরা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম জানান, অভিযোগ পেয়েছি। ইউপি সদস্যেদের হুমকী দিয়েছে কিনা এ বিষয়ে দেখবো।
উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ জানান, নবাবপুর ইউপি চেয়ারম্যান বাদশা আলমগীরের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দপ্তরে ৯জন ইউপি সদস্য অভিযোগ করেছে শুনেছি। তবে আমার ধারণা চেয়ারম্যান বাদশা আলমগীর ইউনিয়ন পরিষদ সঠিক ভাবে পরিচালনা করেন না।

আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ বিভাগের আরও সংবাদ
ফেসবুক পেজ