
এনএনবি : কেন্দ্রে ভোটার আনার দায়িত্ব প্রার্থীদের আর ভোটের পরিবেশ তৈরির দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের- এমনটাই মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান।
এ সময় অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে আনিছুর রহমান বলেন, “রাজনৈতিক দলগুলোরও দায়বদ্ধতা আছে। বিধি-বিধানে আছে নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলে কী হবে না হবে- এগুলো উনারা (রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ) ভালো করে জানেন।
“আমরা চাই ভোটার আসুক। ভোটাররা যদি আসেন, তাহলে সেটিকে অবশ্যই অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন বলতে হবে। ভোটার উপস্থিতি যদি বেশি হয়, তাহলে আমি অবশ্যই সেটাকে অংশগ্রহণমূলক বলব। আমরা আশায় বুক বেঁধে আছি হয়ত সবাই নির্বাচনে আসবে।”
বুধবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শিল্পকলা একাডেমীতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল ও আশুগঞ্জ) আসনের উপ-নির্বাচনে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন নির্বাচন কমিশনার।
৫ নভেম্বর এ আসনের উপ-নির্বাচনে ভোটগ্রহণ করা হবে।
ভোটারদের কেন্দ্রে নিয়ে আসার প্রসঙ্গে আনিছুর রহমান বলেন, “নির্বাচন কমিশন বা নির্বাচনী কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ অন্যান্য যারা আছেন- তাদের কিন্তু দায়িত্ব নয় ভোটার আনার। ভোটার আনার দায়িত্ব হল যারা ভোট করেন, সেই প্রার্থী এবং যারা রাজনৈতিক দল থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন তাদের দায়িত্ব বা যিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী তার দায়িত্ব। আমাদের দায়িত্ব পরিবেশ সৃষ্টি করে দেওয়া। আমাদের যে কর্মকা-, এতে কোনো ব্যত্যয় হবে না।
সব দলকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “তাদের সঙ্গে আমরা সংলাপ করেছি। কেউ কেউ আমাদের আহ্বানে সাড়া দেয়নি। তাদেরকে আমরা আবারও আহ্বান জানিয়েছি।
রাজনৈতিক বিষয় আমরা সমাধান করতে পারব না বা এটি আমাদের ম্যান্ডেটও নয়। আমরা নির্বাচনী পরিবেশ সৃষ্টি করব।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই উল্লেখ করে আনিছুর রহমান বলেন, খুব শিগগির নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে। নির্বাচনের সব প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন। যথাসময়েই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক ও উপ-নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শাহগীর আলমের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) জিয়াউল হক মীর এবং জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাদেকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।